সহজ করে কিছু শেখা

সরলরেখা কাকে বলে - সরলরেখা

এই টিউটোরিয়ালটি শেষে-

সরলরেখা কাকে বলে তা ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।

বিভিন্নভাবে সরলরেখার সংজ্ঞা বর্ণনা করতে পারা যাবে।

সরলরেখা সংশ্লিষ্ট কিছু সরলরেখার বৈশিষ্ট্য বলতে পারা যাবে।



সরলরেখা

যে রেখার উপর অবস্থিত এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে কোনো দিক পরিবর্তন করতে হয় না সেই রেখাকে সরলরেখা বলে। সরলরেখা একদম সোজাসুজি পথে চলে। এই রেখা চলার পথে কোনো দিক পরিবর্তন করে না।

সহজ কথায়, যে রেখা সোজাসুজি চলে তাকে সরলরেখা বলে। সুতরাং, সরলরেখার চলার পথ সোজা। আর বক্ররেখা চলার পথে প্রতিনিয়ত দিক পরিবর্তন করে। সরলরেখা উভয়দিকে অসীম পর্যন্ত চলে অর্থাৎ, এই রেখার চলার পথ কখনও শেষ হয় না। এই কথাটি বুঝানোর জন্য সরলরেখা চিত্রের দুই প্রান্তে তীর চিহ্ন দ্বারা নির্দেশ করা হয়।

কতকগুলো সরলরেখা চিত্র
কতকগুলো বিভিন্ন ধরণের সরলরেখা চিত্র।

সরলরেখার শুধু দৈর্ঘ্য আছে। সরলরেখার কোনো প্রস্থ বা বেধ নেই। তাছাড়া, সরলরেখা উভয়দিকে অসীম পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলে বলে এই রেখার কোনো শেষবিন্দু বা প্রান্তবিন্দু নেই।


ইউক্লিড প্রদত্ত সরলরেখার সংজ্ঞা

গণিত ইতিহাসে কিংবদন্তি গণিতবিদ ইউক্লিড বলেছেন, প্রস্থহীন দৈর্ঘ্যকে সরলরেখা বলে। তার সংজ্ঞা থেকে পাওয়া যায়, সরলরেখার দৈর্ঘ্য আছে কিন্তু প্রস্থ নেই।


সমতলের ধারণা থেকে সরলরেখা

তাছাড়া, সমতলের ধারণা থেকে সরলরেখার ধারণা ব্যাখ্যা করা যায়। যেমন - একটি কাগজের টাকার নোট একটি সমতল ক্ষেত্র। টাকার নোটটির দৈর্ঘ্যকে ঠিক রেখে প্রস্থকে ধীরে ধীরে কমাতে থাকলে একসময় প্রস্থ শুণ্যে পরিণত হবে বা প্রস্থ আর থাকবে না। তখন শুধু নোটটির দৈর্ঘ্য অবশিষ্ট থাকবে। আর নোটের এই দৈর্ঘ্য একটি সরলরেখায় পরিণত হবে। এভাবে তল থেকে সরলরেখার ধারণা পাওয়া যায়। সমতল জ্যামিতি সরলরেখা নিয়ে আলোচনা করে।

একটি রেখা চিত্র
একটি সরলরেখার চিত্র।

সরলরেখাকে চিহ্নিত করার জন্য সরলরেখা চিত্রের দুই প্রান্তবিন্দুর কাছে দুইটি অক্ষর দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। চিত্রে সরলরেখাটির উপর দুইটি বিন্দু A ও B দ্বারা চিত্রিত করা হয়েছে এবং এটিকে পড়া হয় AB সরলরেখা।

সরলরেখার দৈর্ঘ্য বলতে বুঝায় সরলরেখাটির উপর যেকোনো দুইটি বিন্দু নিয়ে সেই বিন্দু দুইটির পরস্পর দুরত্ব নির্ণয় করা। আর এভাবে দুইটি বিন্দু নিলে তখন সেটি রেখাংশ হয়ে যায়। সুতরাং, সরলরেখার দুরত্ব নির্ণয় করা বলতে মূলত; রেখাংশের দুরত্ব নির্ণয় করা বুঝায়।