সম্পাদ্য লেখার নিয়ম
এই টিউটোরিয়ালটির শেষে ...
সম্পাদ্য লেখার নিয়ম ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
যেকোনো সম্পাদ্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে লিখতে পারা যাবে।
সম্পাদ্য লেখার নিয়ম বলতে একটি সম্পাদ্য প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত লিখার প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিকে বুঝায়। সম্পাদ্য লেখার ক্ষেত্রে একটি ধারাবাহিক নিয়ম অনুসরণ করা হয়। একটি সম্পাদ্য লিখার ক্ষেত্রে সাধারণত যে ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয় তা নিম্নরূপ:
সম্পাদ্য লেখার ধারাবাহিকতা
- সাধারণ নির্বচন
- চিত্র অংকন
- বিশেষ নির্বচন
- অংকনের বিবরণ
- প্রমাণ
সাধারণ নির্বচন
সাধারণ নির্বচন অংশে নির্দেশিত কার্যক্রমকে সরলভাবে বর্ণনা করা হয়।
চিত্র অংকন
সম্পাদ্যের এ অংশে নির্দেশিত কার্যক্রমকে জ্যামিতিক আকৃতি বা চিত্রের মাধ্যমে চিহ্নিত করে বাস্তবায়ন করা হয়।
বিশেষ নির্বচন
সম্পাদ্যের এ অংশে সরবরাহকৃত তথ্য বা উপাত্তকে নিদির্ষ্ট করে সরলভাবে বর্ণনা করা হয় এবং নির্দেশিত কার্যক্রমের লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়।
অংকনের বিবরণ
সম্পাদ্যের এ অংশে চিত্র অংকনের বিবরণ লিখতে হয়। অংকনের বিবরণ লেখার সময় অংকনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে বিবরণ লিখা হয়। অংকনের ধারাবাহিকতা বলতে যে কাজটি আগে করা হয়েছে তা আগে লিখতে হয় এবং যে কাজটি পরে করা হয়েছে তা পরে লিখতে হয়। সম্পাদ্যে অংকনের বিবরণ লিখার ক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকতা অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। অংকনের বিবরণ লেখার সময় ধারাবাহিকতা অনুসরণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রমাণ
সম্পাদ্যের এ অংশে যুক্তি দ্বারা অঙ্কিত চিত্রের নির্ভুলতা প্রমাণ করা করা হয়।
তাছাড়া নম্বর বণ্টনের ক্ষেত্রে সম্পাদ্য লেখার নিয়ম যেভাবে অনুসরণ করা হয় তা নিম্নরূপ:
- সম্পাদ্য লেখার সময় সাধারণ নির্বচন না লিখলেও কোনো নম্বর কাটা হয় না।
- সঠিকভাবে সম্পাদ্যের চিত্র অংকন করলে কোনো বর্ণনা না লিখলেও অর্ধেক নম্বর পাওয়া যায়।
- সম্পাদ্যের চিত্র অংকন না করলে বা সঠিকভাবে চিত্র অংকন না করে বর্ণনা লিখলেও কোনো নম্বর পাওয়া যায় না।
- যুক্তিসংগত যেকোনো উপায়ে জ্যামিতিক প্রমাণ করতে পারলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।
- সম্পাদ্য অংকন করে প্রয়োজনীয় চিহ্ন না দিলে বা সঠিকভাবে চিত্র চিহ্নিত না করে বর্ণনা লিখলেও কোনো নম্বর পাওয়া যায় না।
- সম্পাদ্য লেখার ক্ষেত্রে ধাপ ও যথার্থতার মাধ্যমে লিখলে পূর্ণ নম্বর পাওয়া যায়।
- সাধারণত চিত্র অংকনের পর বিশেষ নির্বচন লিখতে হয়। তবে কেউ যদি সম্পাদ্য লেখার সময় বিশেষ নির্বচন লিখার পর চিত্র অংকন করে তবে তার জন্য কোনো নম্বর কাটা হয় না। তবে মনে রাখা দরকার, চিত্র অংকনের পরে বিশেষ নির্বচন লিখাই সমীচীন।
সম্পাদ্যের একটি পরিপূর্ণ উদাহরণ
সম্পাদ্য লেখার নিয়ম অনুসরণ করে একটি সম্পাদ্য পরিপূর্ণভাবে করে দেখানো হলো।
সম্পাদ্য প্রশ্ন: একটি ত্রিভুজের দুইটি বাহু ও তাদের অন্তর্ভূক্ত একটি কোণ দেওয়া আছে। ত্রিভুজটি আঁকতে হবে।
সাধারণ নির্বচন: একটি ত্রিভুজের দুইটি বাহু ও তাদের অন্তর্ভূক্ত একটি কোণ দেওয়া আছে। ত্রিভুজটি আঁকতে হবে।
বিশেষ নির্বচন: একটি ত্রিভুজের দুইটি বাহুর দৈর্ঘ্য a ও b এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত একটি কোণ ∠x দেওয়া আছে। ত্রিভুজটি আঁকতে হবে।
অংকনের বিবরণ: যেকোনো রেখাংশ BD থেকে BC = a কেটে নিই। B বিন্দুতে ∠CBE = ∠x আঁকি। BE থেকে BA = b কেটে নিই। A ও C যোগ করি। তাহলে △ABC-ই উদ্দিষ্ট ত্রিভুজ।
প্রমাণ: △ABC -এ BC = a,
AB = b এবং
a ও b বাহুর অন্তর্ভুক্ত ∠ABC = ∠x.
সুতরাং, △ABC-ই উদ্দিষ্ট ত্রিভুজ। (প্রমাণিত)