সম্পাদ্যের কয়টি অংশ
এই টিউটোরিয়ালটির শেষে ...
সম্পাদ্যের কয়টি অংশ থাকে তা ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
যেকোনো সম্পাদ্যের বিভিন্ন অংশ বিশ্লেষণ করতে পারা যাবে।
সম্পাদ্যের কয়টি অংশ থাকে? সম্পাদ্যের প্রধানত তিনটি অংশ থাকে। এই অংশ তিনটি দ্বারা মূলত: একটি সম্পাদ্য গঠিত হয়।
সম্পাদ্যের প্রধান ৩টি অংশ হলো:
- তথ্য বা উপাত্ত
- চিত্র অংকন
- প্রমাণ
তথ্য বা উপাত্ত
সম্পাদ্যে চিত্র অংকনের জন্য যেসব উপাদান সরবরাহ করা হয়, সেগুলোই তথ্য বা উপাত্ত। অর্থাৎ, সম্পাদ্যে যা দেওয়া থাকে তাই তথ্য বা উপাত্ত। সম্পাদ্য লেখার সময় বিশেষ নির্বচন অংশে তথ্য বা উপাত্তকে ঘোষণা করা হয়।
চিত্র অংকন
সম্পাদ্যে যা করণীয়- তাই অংকন। অর্থাৎ, সরবরাহকৃত তথ্য বা উপাত্ত দিয়ে যা করতে বলা হয় তাই চিত্র অংকন। সম্পাদ্যে চিত্র অংকন করার পর চিত্র চিহ্নিত করতে হয়। অতপর অংকনের বিবরণ লিখতে হয়। অংকনের বিবরণ লেখার সময় অংকনের ধারাবাহিকতা অনুসারে বিবরণ লিখতে হয়।
প্রমাণ
সম্পাদ্যে চিত্র অংকন করার পর অঙ্কিত চিত্রের সঠিকতা নিরূপণ করা হয়। যুক্তি দ্বারা চিত্র অংকনের সঠিকতা বা নির্ভুলতা যাচাই করার নামই হলো প্রমাণ। তবে স্কুল পরীক্ষাগুলোতে সম্পাদ্যে সাধারণত প্রমাণ করতে বলা হয় না।
উদাহরণস্বরূপ: একটি সামান্তরিকের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৫ সেমি এবং দুইটি কর্ণের দৈর্ঘ্য ৭ সেমি ও ১০ সেমি দেওয়া আছে। সামান্তরিকটি আঁকতে হবে।
- এখানে সামান্তরিকের একটি বাহুর দৈর্ঘ্য ৫ সেমি এবং দুইটি কর্ণের দৈর্ঘ্য ৭ সেমি ও ১০ সেমি হলো তথ্য বা উপাত্ত।
- সামান্তরিকটি অংকন করতে বলা হয়েছে। তাই নির্দেশিত কার্যক্রম হলো সামান্তরিক অংকন।
- চিত্র অংকন করার পর অংকন নির্ভুল হয়েছে কিনা তা যুক্তি দ্বারা যাচাই করার প্রক্রিয়া হলো প্রমাণ।
তাই সম্পাদ্য বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হলে সম্পাদ্য এর কয়টি অংশ ও কী কী ও সম্পাদ্যের প্রতিটি অংশে কী কী অন্তর্ভূক্ত এবং প্রতিটি অংশের গুরুত্বই বা কি তা জানা জরুরী। আবার যেকোনো সম্পাদ্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুসম্পন্ন করতে সাধারণ নির্বচন, বিশেষ নির্বচন, অংকনের বিবরণ, প্রমাণ ইত্যাদি সঠিক ও নির্ভুলভাবে লিখতে হয়। আবার এসব লিখার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হয়। তাই একটি সম্পাদ্য পরিপূর্ণভাবে লিখতে হলে সম্পাদ্য লেখার নিয়ম জানা অত্যাবশ্যক।