স্থুলকোণ কাকে বলে
এই টিউটোরিয়ালটি শেষে -
স্থুলকোণ কাকে বলে তা বর্ণনা করতে পারা যাবে।
স্থূলকোণের মান কত ডিগ্রি তা বলতে পারা যাবে।
স্থূলকোণ চিত্র এঁকে ব্যাখ্যা করতে পারা যাবে।
স্থুলকোণ
৯০° অপেক্ষা বড় এবং ১৮০° অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থুলকোণ বলে। অন্যভাবে বললে, এক সমকোণ অপেক্ষা বড় এবং দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থুলকোণ বলে। আবার স্থূলকোণকে আরেকভাবে সংজ্ঞায়িত করলে দাড়ায়, সমকোণ অপেক্ষা বড় এবং সরলকোণ অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে।
সুতরাং, চুড়ান্তভাবে স্থূলকোণকে সংজ্ঞায়িত করলে দাড়ায়, এক সমকোণ বা ৯০° অপেক্ষা বড় এবং দুই সমকোণ বা ১৮০° অপেক্ষা ছোট কোণকে স্থূলকোণ বলে।
যেমন: ৯১০, ১০০০, ১২০০, ১৫০০, ১৭৯০ এদের প্রত্যেকেই এক-একটি স্থূলকোণ। কারণ এসব কোণগুলোর প্রত্যেকটির পরিমাপ ৯০০ অপেক্ষা বেশি এবং ১৮০০ অপেক্ষা কম।
স্থূলকোণ এর মান কত
যদি প্রশ্ন করা হয়, স্থূলকোণ এর মান কত? এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, স্থূলকোণের মান এক সমকোণ থেকে বড় এবং দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট।
স্থূলকোণ কত ডিগ্রি
আবার যদি প্রশ্ন করা হয়, স্থূলকোণ কত ডিগ্রি? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, স্থূলকোণের পরিমাপ ৯০০ থেকে বেশি এবং ১৮০০ থেকে কম যেকোনো একটি কোণ।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, একটি স্থূলকোণ বলতে নিদির্ষ্ট কোনো কোণকে বুঝায় না। বরং, স্থূলকোণ বলতে ৯০০ অপেক্ষা বড় এবং ১৮০০ অপেক্ষা ছোট যেকোনো কোণকে বুঝায়।
অতএব, ৯০০< স্থূলকোণ < ১৮০০।
স্থূলকোণ কাকে বলে উদাহরণ দাও
যদি প্রশ্ন করা হয় স্থূলকোণ কাকে বলে উদাহরণ দাও - তাহলে স্থুলকোণের বাস্তবভিত্তিক একটি উদাহরণ হলো: একটি এনালগ ঘড়িতে যখন ঠিক ৪টা বাজে, তখন ঘড়ির ঘণ্টার কাটা ও মিনিটের কাটার মধ্যে একটি স্থূলকোণ তৈরি হয়। কারণ ঠিক ৪টার সময় ঘড়ির ঘণ্টার কাটা ও মিনিটের কাটার মধ্যবর্তী যে কোণ উৎপন্ন হয় তার পরিমাপ ১২০০।
কেবল স্থূলকোণী ত্রিভুজের একটি স্থূলকোণ থাকে। স্থুলকোণী ত্রিভুজ ব্যতীত আরও যেসব ত্রিভুজ রয়েছে সেসব ত্রিভুজের কোনো স্থূলকোণ থাকতে পারে না।
CO, AB এর লম্ব অর্থাৎ, CO⊥AB. সুতরাং, ∠BOC=৯০°।
আবার, ∠AOB একটি সরলকোণ বা দুই সমকোণ অর্থাৎ, ∠AOB=১৮০°।
এখন, ∠BOC হলো ∠BOD এর একটি অংশ। অন্যদিকে ∠BOD হলো ∠AOB এর একটি অংশ।
তাই, ∠BOC < ∠BOD < ∠AOB.
অর্থাৎ, ৯০°< ∠BOD < ১৮০°।
অতএব, ∠BOD এর পরিমাপ ৯০° অপেক্ষা বড় এবং ১৮০° অপেক্ষা ছোট।
সুতরাং, ∠BOD একটি স্থূলকোণ।